
প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের গঙ্গা নদীতে পলির কারণে আটকে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘযাত্রার প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ যাত্রার সূচনা করেন।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিহারের চিরান্দ প্রত্নক্ষেত্রে যাত্রীদের নামানোর জন্য গঙ্গার তীর বরাবর এগিয়ে আসছিল গঙ্গা বিলাস। ওই সময় হঠাৎ গঙ্গা নদীর পলির মধ্যে আটকে যায় সেটি। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চিরান্দ পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি ছোট নৌকাকে নিয়ে আসা হয়। সেই নৌকা করেই যাত্রীদের নিরাপদে পারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ছপরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গঙ্গার ওই অংশে পানি কম থাকায় প্রমোদতরীটি কূলে ভিড়তে গিয়ে এক জায়গায় আটকে যায়। তবে যাত্রীদের যে নির্বিঘ্নে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম পর্যন্ত ৩,২০০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে এই প্রমোদতরী।
মোট ৫১ দিনে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ঘুরে আসামের ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে। এ সময় দুই দেশের অন্তত ৫০টি ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ থাকবে এই প্রমোদতরীতে।
প্রটোকল রুট ধরে এই নৌযান চলাচলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। সেদেশের সরকারের উদ্যোগে এটি চালু হলেও পরিচালনার দায়িত্বে আছে ‘অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজেস’।
এতে জন প্রতি একদিনের টিকেটের দাম পড়েছে ২৪,৬৯২ রুপি; যাত্রাপথের মোট ৫১ দিনের ভাড়া ১২ লাখ ৫৯ হাজার রুপি। তবে আলাদা আলাদা প্যাকেজেও পর্যটকরা এই তরীতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করবে এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করবে ‘গঙ্গা বিলাস’।
প্রমোদতরীটির পর্যটকদের বাংলাদেশের খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আংটিহারায় অনবোর্ড ইমিগ্রেশন শেষে মোংলা বন্দরে স্বাগত জানানো হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৩ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে তাদেরকে স্বাগত জানাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।