Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

নিহত বেড়ে ২৯ হাজার

এখনও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:২৪

এখনও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা

সাত দিন ধরে তুরস্ক-সিরিয়ায় উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

মুহূর্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ভূমিকম্পে দেশ দুটিতে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে নিহত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬১৭ ও সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩ জন। এখনও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা কেননা উদ্ধারকাজ বাকি রয়েছে আরও অনেক। 

উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই বিধ্বংসী ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ছয়দিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পের ছয়দিন পরও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলছে জীবিত মানুষ। যেমন তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে জানিয়েছে, দ্রুত সাহায্য ছাড়া, খোলা জায়গায় বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ কঠোর পরিস্থিতির হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দেশটিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ১৩৪ জন। সোমবারের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের অন্যতম দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কাহরামানমারাস থেকে অন্তত ২৮ হাজার ৪৪ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ হাজার ৪৩৭ জনকে আকাশপথে এবং ৪ হাজার ৬০৭ জনকে সড়ক ও রেলপথে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে, ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের। 

তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলছেন, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পূর্বপ্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫