একদিনে ৩ দেশে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল বাংলাদেশও

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:৩২
-63fa461782d4f.jpg)
রিক্টার স্কেল। ছবি: সংগৃহীত
একদিনে অর্থ্যাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কসহ বিশ্বের অন্তত তিনটি দেশে ভূমিকম্প হয়েছে। অন্য দুটি দেশ হলো এশিয়ার জাপান ও মিয়ানমার। যার প্রভাবে বাংলাদেশও কেঁপে উঠে।
আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে মিয়ানমারের আয়াবতী ও রাখাইন রাজ্যে দুটি পৃথক মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যে কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলাও কেঁপে উঠে।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) বলেছে, মিয়ানমারে আঘাত হানা এই ভূমকম্পন বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভারতের কিছু এলাকায়ও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের তথ্য রাখা ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি বলেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে ১২৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে মিয়ানমারের আয়াবতী রাজ্যের পাথিন অঞ্চল ভূমিকম্পে প্রথম কেঁপে উঠে। এরপর দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানে।
প্রথম ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। তবে এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এরপর রাখাইন রাজ্যে ৪ দশমিক ১ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে ৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
এদিকে আবারো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। আজ শনিবার মধ্য আনাতোলিয়ান অঞ্চলের নিগদে প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প হয় বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় মধ্যপ্রাচের দেশটিতে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তুর্কি দুর্যোগ সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে নিগদে প্রদেশের বোর জেলায় অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল সাত কিলোমিটার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে যেখানে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল, বোর জেলা সেখান থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানান, ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা রয়েছেন। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি নেই। আল্লাহ যেন আমাদের দেশ ও জাতিকে সব ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন।
অন্যদিকে এশিয়ার আরেক ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল জাপান। দেশটির উত্তরাঞ্চলে আজ আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প।
হোক্কাইডোতে প্রদেশে শনিবার রাতে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে এবং জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উপকূলীয় শহর কুশিরো এবং নেমুরোকে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলেও, কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া যায়নি শনিবারের ভূমিকম্পে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জাপান সময় রাত ১০টা ২৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মাটি থেকে ৪৩ কিলোমিটার (২৭ মাইল) গভীরে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় জাপানে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। এ কারণে দেশটির অবকাঠামো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন প্রচণ্ড কম্পনেও ভবনের কিছু না হয়। ভবন নির্মাণ আইন মানা হচ্ছে কি না, মহড়ার মাধ্যমে তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।