বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৮:১১

ইস্কান্দার এম মিসাইল। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর বিবিসির।
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বলতে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত পারমাণবিক অস্ত্রকে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে মস্কো নিজেদের অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের কাছে হস্তান্তর করবে না বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কারণে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঠেকাতে যে চুক্তি রয়েছে, তার লঙ্ঘন হবে না।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইউরোপে মার্কিন অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, মস্কো তার অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মিনস্কের হাতে দেবে না।
রাশিয়ার এ ঘোষণার পরও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হয় না।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের নিজস্ব কৌশলগত পারমাণবিক অবস্থান সমন্বয় করার কোনো কারণ দেখিনি। আমরা ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বেলারুশের সরকার রাশিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলাকে মিনস্ক বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্র দশকের পর দশক ধরে এমন কাজ করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্র দেশগুলোর ভূখণ্ডে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, রাশিয়া আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণের জন্য স্থাপনা নির্মাণের কাজ শেষ করবে। পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের সময় ব্যবহারের উপযোগী অল্পসংখ্যক ইস্কান্দার ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম ইতিমধ্যে বেলারুশে স্থানান্তর করা হয়েছে।
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ের পর মস্কো এই প্রথম রুশ ভূখণ্ডের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে যাওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্রগুলো চারটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র- রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ ও কাজাখস্তানের কাছে চলে যায় এবং সব ওয়ারহেড রাশিয়ার কাছে স্থানান্তর শেষ হয় ১৯৯৬ সালে।