ট্রেনে প্রবীণদের লোয়ার বার্থ নয় কেন, লোকসভায় প্রশ্ন দেবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৯:১৫

ছবি: সংগৃহীত
ভারতে দূরপাল্লার ট্রেনে প্রবীণ নাগরিক, মহিলা এবং অসুস্থ যাত্রীদের জন্য লোয়ার বার্থ দেওয়ার বিধি বেশ পুরনো। কিন্তু, গত কয়েক বছরে সেই বিধি মানা হচ্ছে খুবই কম। যার জেরে ভোগান্তিতে পড়ছেন বহু মানুষ। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে ২০২০ সালের করোনা মহামারির পর থেকেই।
এ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সদস্য অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)। দেবের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এর জন্য প্রতিটি কোচে নির্দিষ্ট সংখ্যক বার্থ রয়েছে।
দেবের প্রশ্নের জবাবে দেশটির রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, "প্রতিটি স্লিপার কোচে ৬ থেকে ৭টি বার্থ, এসি থ্রি টিয়ারে ৫ থেকে ৬টি, এসি টু টিয়ারে ৩ থেকে ৪টি লোয়ার বার্থ নির্দিষ্ট করা আছে। প্রবীণ, ৪৫ বছরের বেশি বয়স্ক মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও বার্থ নির্দিষ্ট রয়েছে।" রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৪৫ বছরের বেশি বয়সি কোনও মহিলা, অন্তঃসত্ত্বা, অথবা প্রবীণ নাগরিক আপার বার্থ পেলে কোচের দায়িত্বে থাকা টিকিট পরীক্ষক সেই যাত্রীর আসন বদল করে লোয়ার বার্থ করে দিতে পারেন।
এছাড়াও তৃণমূলের এই লোকসভা সদস্য প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ভর্তুকি বা ছাড় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সে প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে করোনার সময় থেকে রেলের টিকিটে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিন সংসদে রেলমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ট্রেনের টিকিটে ভাড়ায় ছাড় বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার খরচ করেছে ৫৯,৮৩৭ কোটি টাকা খরচ করেছে। অন্য আরেকটি প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের আরেক লোকসভা সদস্য মিমি চক্রবর্তী। তার প্রশ্ন ছিল, মধ্য ও দূরপাল্লার সফরের জন্য স্লিপার ক্লাসের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার ভাবনাচিন্তা দেশটির রেল কর্তৃপক্ষের আছে কি না। তার প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, স্লিপার ক্লাসের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নকশা তৈরি করা হচ্ছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেই এই ট্রেন চালু করা হবে।
কিছুদিন আগেই একটি সংসদীয় প্যানেল সুপারিশ করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রেলের টিকিটের ছাড় পুনরুদ্ধার করা উচিত। সেখানে আরও বলা হয়, রেলওয়েকে তার আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং অন্তত স্লিপার ক্লাস ও 3AC ক্লাসে সিনিয়র নাগরিকদের ভাড়ায় ছাড় দিতে হবে। কমিটি তাদের পূর্বের সুপারিশ পুনর্ব্যক্ত করে যাতে দুর্বল এবং সত্যিকারের অভাবী নাগরিকরা রেলের এই দুটি শ্রেণিতে কিছু সুবিধা পেতে পারে।