
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার বার্তা দিয়েছে চীন। এমনকি অরুণাচলকে ‘সার্বভৌম চীনের অংশ’ বলে চিহ্নিত করেছে শি জিনপিং সরকার।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশের চীনা নাম) চীনের ভূখণ্ডের অংশ। চীন সরকার আইন মেনেই প্রশাসনিক প্রয়োজনে কিছু নাম পরিবর্তন করেছে। এটি চীনের সার্বভৌম অধিকার।
কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস গত সোমবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে জানায়, রবিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র দপ্তর অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দুটি মালভূমি অঞ্চল, দুটি আবাসিক এলাকা এবং দুটি নদী। এর পরই ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চীনা পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, অরুণাচলের যে ১১টি অঞ্চলের নাম বদলের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ।
অরুণাচলকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি চীন। তাদের দাবি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এর আগেও দুবার অরুণাচলের বিভিন্ন অংশের নাম বদল করেছে চীন। ২০১৭ সালে দালাই লামার অরুণাচল সফরের পর সে রাজ্যের ছয়টি জায়গার নাম বদল করে চীনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে আরো ১৫টি জায়গায় নাম বদলের কথা জানিয়েছিল তারা।
লাদাখের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে তাওয়াংসহ অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চীনা ফৌজের অনুপ্রবেশের ‘খবর’ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতির পর্যায়ে বেজিংয়ের এই আগ্রাসী মনোভাব নতুন করে সামরিক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।