
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারসহ দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে জনসংখ্যাগত বিপর্যয়ের মুখোমুখি। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সন্তান জন্ম দেয়ার গড় সংখ্যা ০ .৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আগের বছর রেকর্ড ছিল ০.৮১ শতাংশ।
উন্নত দেশগুলিতে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জন্মহার সাধারণত ২.১ শতাংশ। জন্মহার বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও স্থানীয় সরকার সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য টাকাসহ অন্যান্য উৎসাহ ভাতা দিচ্ছে।
গত এক দশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখানো দক্ষিণ কোরিয়ার ওইসিডি তালিকায় সামাজিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার ব্যয়ের জন্য সর্বনিম্ন। ২০২২ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া প্রসূতি মাদের সন্তান জন্মের পর ১ হাজার ৫১০ ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি) পর্যন্ত দিচ্ছে। যা ফ্রান্সের চেয়েও বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিবারগুলো এক বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি মাসে নগদ ৫২৮ ডলার এবং দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি মাসে ২৬৪ ডলার করে টাকা পায়। ২০২৪ সালে এই টাকার পরিমাণ বেড়ে যথাক্রমে ৭৫৫ ডলার এবং ৩৭৭ ডলার দেয়া হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য প্রতি মাসে আরও ১৫১ ডলার দেয়া হবে, নিম্ন আয়ের পরিবার এবং একক অভিভাবকদের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য চিকিৎসা খরচ, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা, শিশুর সেবা এমনকি ডেটিং খরচও।