
নিহত সৈনিকদের ছবি হাতে সেনাসদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত একদল সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা চালিয়েছেন। এতে প্রায় ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সরকারি আইন কর্মকর্তা কৌঁসুলি লামিনে কাবোরে এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কারমা গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাটিতে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর অধিপত্য রয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে তারা গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।
তিনি জানান, মালির নিকটবর্তী সীমান্তবর্তী ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কারমা গ্রামে হামলার পরে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। এলাকাটি আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর দখলকৃত। সেখানে বছরের পর বছর ধরে বারবার হামলা চালিয়েছে আসছেন তারা।
তবে কাবোরের দেওয়া বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি বলে জানায় রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ২০২২ সাল থেকে মালির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বেসামরিকদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে আর তারপর থেকে সেখানে স্বেচ্ছাসেবক প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলো অনেকগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে।
বুরকিনা ফাসোর সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল ওয়াহিগুইয়ার কাছে একই এলাকায় সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীগুলোর ওপর অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ৪০ জন নিহত ও আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
২০১২ সালে মালিতে তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিদ্রোহ ইসলামপন্থি জঙ্গিরা ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে পশ্চিম আফ্রিকার এ অঞ্চলটিতে অস্থিরতা শুরু হয়। তারপর থেকে ওই সহিংসতা মালি ছাড়িয়ে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারেও বিস্তৃত হয়। এতে হাজার হাজার লোক নিহত ও ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়ে পড়ে।