
বাল্যবিয়ে। ছবি: প্রতীকী
জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, বাল্যবিয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তবে যে হারে কমছে তাতে আগামী ৩০০ বছরেও এই ধারা বন্ধ হবে না। সংকটের একটি প্রবল ঝড় এখনও এই প্রবণতা বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ক্লডিয়া ক্যাপা বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই বাল্য বিয়ের প্রচলন পরিত্যাগে অগ্রগতি অর্জন করেছি, বিশেষ করে গত ১০ বছরে। দুর্ভাগ্যবশত, এই অগ্রগতি যথেষ্ট নয়।’
ইউনিসেফের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে ৬৪ কোটি মেয়ে ও নারীর বিয়ে হয়েছে যখন তাদের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। বর্তমানে আনুমানিক প্রতি বছর ১ কোট ২ লাখ মেয়ে শিশুর বাল্য বিয়ে হচ্ছে। কিন্তু গত ২৫ বছরে এ ধরনের বিয়ের হার হ্রাস পাচ্ছে।
এদিকে ১৯৯৭ সালে, ২০-২৪ বছর বয়সী ২৫ শতাংশ যুবতী ১৮ বছরের আগে বিয়ে করেছিলেন। ২০১২ এই সংখ্যাটি ২৩ শতাংশে নেমে এসেছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি ছিল ১৯ শতাংশে। এরপরও ২০৩০ সালে প্রায় ৯ মিলিয়ন মেয়ের বাল্য বিয়ে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্লডিয়া ক্যাপা বলেন, ‘বর্তমান গতিতে, বাল্যবিয়ে দূর করতে আমাদের হয়তো ৩০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই বিষয়গুলোতে বেশিরভাগই ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী মেয়েরা জড়িত।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারি, বৈশ্বিক সংঘাত এবং এর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের সংমিশ্রণ জলবায়ু পরিবর্তন এই অগ্রগতি উল্টে দিতে পারে। ২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১০ মিলিয়ন অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ের জন্য শুধুমাত্র কোভিড-১৯ দায়ী বলে ধারণা করা হয়।