
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ। ভোটাররা এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিয়েছেন।
প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে ৫৬.৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অন্যদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কুলুচদারুলু পেয়েছেন ৩৭.৪১ শতাংশ ভোট। খবর আল-জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট গণনার অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে।
বলা হচ্ছে, আধুনিক তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাসে এটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন। দেশটিতে ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি না, তা এই নির্বাচনে নির্ধারিত হবে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি এরদোয়ানের ভোট শতাংশের ভিত্তিতে কমতে পারে। খুব সম্ভবত, কেমাল কুলুচদারুলুর ভোট শতাংশের ভিত্তিতে বাড়তে পারে। কিন্তু আমরা জানিনা তা কতটা বাড়তে পারে।
বিশ্লেষকরা আরও বলেন, সাধারণত ৫০ শতাংশ ভোট গণনা হলে তখন ফলাফলের আমূল পরিবর্তন হয় না।
বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু কিছুটা এগিয়ে আছেন। বিরোধী ছয়টি দলের জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।
তুরস্কের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, ভোটের দিন রাত ৯টা পর্যন্ত ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে কি না, তার ইঙ্গিত আজ গভীর রাত নাগাদ পাওয়া যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪১ লাখ। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী ভোটার এরই মধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে দেশজুড়ে মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটার দুটি ভোট দিয়েছেন–একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এবং আরেকটি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচনের জন্য।