মোখায় বিধ্বস্ত মিয়ানমারে বিদেশি ত্রাণ তৎপরতায় জান্তা সরকারের বাধা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ১৭:১৯

বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখায় লন্ডভন্ড মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখায় লন্ডভন্ড মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিসংঘের ও বিভিন্ন বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধি দলকে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমারে বর্তমানে জাতিসংঘসহ কয়েকটি বিদেশি দাতব্য সংস্থার প্রতিনিধিরা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অপেক্ষা করছেন। ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সরকার তাদেরকে রাখাইনে গিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর অনুমতি এখনও দেয়নি, কবে দিতে পারে কিংবা আদৌ দেবে কিনা— এটাও অনিশ্চিত।’
‘প্রতিনিধিদের যদি
রাখাইনে যেতে দিতে জান্তার আপত্তি থাকে, সেক্ষেত্রে তারা এসব ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নিজেদের উদ্যোগে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে
বিতরণ করতে পারে। সেটিও তারা করছে না।’
টম অ্যান্ড্রুজ
জানান, ত্রাণ বিতরণের জন্য
জান্তা প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়মিত
যোগাযোগ-আলোচনা চলছে, কিন্তু এখন
পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো ফলাফল আসেনি।
গত রবিবার (১৩
মে) প্রবল শক্তি নিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ে
বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগ
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া রেকর্ড।
ঝড়-বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন
অঞ্চল।
জাতিসংঘের ত্রাণ
ও মানবিক সহায়তা বিতরণকারী সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব
হিম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখায় পুরো রাখাইন তছনছ হয়ে গেছে। তবে
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রদেশের কায়াউকতু, মংডু, পাকতু, পোন্নাগিউন,
রাথেডাউং এবং রাজধানী
সিতওয়ে শহর।
মোখাকে বিবেচনা করা হচ্ছে এযাবৎকালে মিয়ানমারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে।