চাল রপ্তানি অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ২৩:৪০

নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় ভিয়েতনাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
২০৩০ সালের মধ্যে বছরে চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্ধেক কমিয়ে ৪০ লাখ টনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। চাল রপ্তানি-সংক্রান্ত সরকারি কৌশলপত্রের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি নথি বিশ্লেষণ করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চমানের চাল রপ্তানি বাড়ানো, অভ্যন্তরীণ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনাম এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই কৌশলপত্র অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চাল রপ্তানি থেকে ভিয়েতনামের বার্ষিক আয় ২৬২ কোটি ডলারে নেমে আসবে। যা গত বছর ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার।
নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাল রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে চায় ভিয়েতনাম সরকার। ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ায় আঞ্চলিক বৈঠকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদে ফিলিপাইনে চাল রপ্তানি করতে ইচ্ছুক তাঁর সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় চাল ক্রেতা ফিলিপাইন। গত বছর ভিয়েতনামের ৪৫ শতাংশ চাল কিনেছে ফিলিপাইন।
ভিয়েতনামের সরকারি নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়ার বাজারে ৬০ শতাংশ, আফ্রিকায় ২২ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যে ৪ শতাংশ ও ইউরোপে ৩ শতাংশ চাল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাল প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তারিকারক প্রতিষ্ঠান ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভিয়েতনাম সরকার বলছে, তারা উচ্চ মানসম্পন্ন, সুগন্ধিযুক্ত ও আঠালো চাল উৎপাদনে মনোযোগ দেবে। নিম্নমানের চাল উৎপাদন ২০২৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদনের ১৫ শতাংশে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ভিয়েতনাম থেকে চাল রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ টন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও থাইল্যান্ডের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। গত বছর দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ গত সেপ্টেম্বরে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) চুক্তি করেছে।