-6477461ba6769.jpg)
মহাকাশ মিশনে অংশ নেয়া সৌদি আরবের দুই নভোচারী রায়ানাহ বারনাওয়ায়ি ও আলী আল-কুরনি। ছবি: সংগৃহীত
গত ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটযোগে মহকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন তারা। এসময় মহাকাশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৮ দিন ধরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এ নভোচারীরা। পরে অভিযান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ফের ফ্লোরিডাতেই ফেরেন তারা।
তাদের বহনকারী স্পেস এক ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি মেক্সিকো উপসাগরের উপকূলীয় পানামা শহরে অবতরণ করে। এসময় তাদের পৃথিবীতে ফিরতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে।
এটির সরাসরি সম্প্রচার করে যৌথভাবে স্পেস এক্স ও এক্সিয়ম স্পেস। আলী আলকারনি ও রায়ানাহ বারনাওয়ায়ি এ মিশনে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে অবতরণের পর ক্যাপসুলের দরজা খুলেই প্রথম সৌদির নারী নভোচারি রায়ানাহ ক্যামেরার সামনে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জয়ের নিশানা দেখান।পরে পৃথিবীতে অবতরণের পর রায়ানাসহ বাকি তিন নভোচারীকে হেলিকপ্টারে করে প্রথম গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই চার জনের পরবর্তী গন্তব্য হলো ক্যাপ ক্যানাভেরাল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে বিমানযোগে যাবেন তারা, বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।
রায়ানাহ বারনাওয়ায়ি মূলত একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞান গবেষক ও আলী আল-কারনি জঙ্গি বিমানের পাইলট। আর এক্সিয়ম২ ক্রুটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন পেগিউ হুইটসন (৬৩)।
যিনি এর আগে ৬৬৫ দিন মহাকাশে কাটানোর রেকর্ড অর্জন করেছেন। এমনকিভ্রমণের সময় ১০ বার মহাকাশে হাঁটাসহ তিনটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযান পরিচালনার রেকর্ডও রয়েছে তার ঝুলিতে।
এদিকে বারনাওয়ায়ি মহাকাশ থেকে বিদায় নেওয়ার পুর্ব মূহুর্তে সোমবার এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রতি গল্পের শেষ আছে। কিন্ত এ গল্পের মাত্র শুরু, আমাদের দেশের জন্য যা নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।
তবে অনেকের দাবি বারনাওয়ায়ি প্রথম আরব নারী নভোচারী নন। এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে সাড়া সাবরি নামক আরেক মিশরীয় নারী প্রথম মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আর সেটি জেফ বেজসের ব্লু অরিজিন পরিচালনা করেছিলেন।