Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ইপিসি সম্মেলন- ডয়চে ভেলে বিশ্লেষণ

রুশ থেকে বাঁচতে মলদোভা ইউক্রেনে ঝুকবে?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ১৮:৫৬

রুশ থেকে বাঁচতে মলদোভা ইউক্রেনে ঝুকবে?

৪৭ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিয়ে এবারের ইপিসি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ উপলক্ষ্যে আজ বৃহষ্পতিবার (১ জুন) বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়েছেন দেশটির মলদোভার মিমি ক্যাসেল ও ওয়াইনারিতে। এটি দেশটির রাজধানী চিশিনাউয়ের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত। ইউরোপের অন্যতম ছোট এবং দরিদ্র রাষ্ট্র মলদোভা। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্ত্ররভূক্তি লাভ করেছে দেশটি। 

আর এরপরেই ইউরোপীয় পলিটিকাল কমিউনিটি (ইপিসি) শীর্ষ সম্মেলনের দায়িত্ব পেল দেশটি। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছেন ৪৭টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা।

রাশিয়া এবং বেলারুশ ছাড়া ইউরোপের অধিকাংশ দেশই এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত। তবে আরও বেশ কিছু দেশকে এর অভ্যন্তরে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। বস্তুত, তুরস্ক, আজারবাইজান, আর্মেনিয়ার মতো দেশগুলোকেও এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, কসোভো, বসনিয়াও এতে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

ইউক্রেন ইস্যু 

গুরুত্বপূর্ণ এই শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় কিভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরো বেশি করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়ে কথা হইবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। 

এর আগে প্রথম ইপিসি হয়েছিল প্রাগে।

আর সেসময় ইইউ নেতারা প্রায় সকলেই একটি বিষয়ে সহমত জানিয়েছিলেন-ইপিসি আলোচনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মঞ্চ। 

মলদোভার ভবিষ্যৎ

রোমানিয়া এবং ইউক্রেনের মাঝে ছোট্ট রাষ্ট্র মলদোভা। ১৯৯২ সালে এই রাষ্ট্রের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাশিয়া ঘনিষ্ঠ এই অংশের নাম ট্রান্সনিস্ট্রিয়া।

আর বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওই অঞ্চলে রাশিয়া তাদের সেনা মোতায়েন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বড় প্রশ্ন হলো, ইউক্রেনের পর রাশিয়া আরো পশ্চিমে অগ্রসর হবে কি না। সেক্ষেত্রে মলদোভাকে গ্রাস করা রাশিয়ার পক্ষে খুব কঠিন নয়। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে মলদোভাকে ক্রমশ ইউক্রেনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে জল্পনা কল্পনা। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি রয়েছে গুরুত্বের সঙ্গে।

রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধাচারণ 

সম্মেলনের আরেকটি লক্ষ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে সকলকে সংগঠিত করা। সে কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরেও বেশ কিছু দেশকে এবারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইইউ নেতাদের ধারণা , সংস্থাটিকে আরো বড় করার পাশাপাশি যুক্ত হওয়ার নিয়ম কিছুটা বদলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী মঞ্চ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, এ বিষয়গুলোই আলোচনা হবে এই শীর্ষ সম্মেলনে।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস এ বিষয়ে অবশ্য আশাবাদী। 

গত ইপিসিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছিলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর ছোটবেলার সমস্যা হলো, তারা মাঝে মাঝেই গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। 

উল্লেখ্য, ইউরোপের একাধিক দেশে কার্যত গৃহযুদ্ধ বিরাজ করছে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ, তুরস্কের নিজস্ব কিছু সমস্যা, কসোভো বিক্ষোভ, বসনিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী লড়াই এসব উল্লেখযোগ্য। আর  এ ছোট ছোট লড়াইগুলো থেকে বের হয়ে আসতে ব্যর্থ হলে শক্তিশালী ইউরোপ তৈরি হবে না বলেই মনে করে থাকেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫