চীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) ওয়াশিংটনে দেশ দুটোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বেইজিংয়ের হাত হতে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ইস্যুতে আলোচনায় অংশ নেয়। 

এদিকে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নতুন এমন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে দেশদুটো। এর আগে গত বছরের আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র—তাইওয়ান একবিংশ শতাব্দীর বাণিজ্য আলোচনা কর্মপরিকল্পনার অধীনে এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে প্রথম বাণিজ্য চুক্তি। 

আর এবারে সপ্তাহ শেষে সিঙ্গাপুরে উচ্চ—পর্যায়ের বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলনের আগ মুহুর্তে নতুন বাণিজ্য চুক্তির এই ঘোষণা দিল দুই দেশ। 

এ বাণিজ্য চুক্তির ফলে এই দ্বীপ রাষ্ট্রে চীনের যুদ্ধ বিমানের মহড়া কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে মার্কিন ও ইউরোপিয় নেতারা স¤প্রতি তাইওয়ান সফরের পর দেশটির নির্বাচিত সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনও জানিয়েছিলেন। 

এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন তাইওয়ান ইস্যুতে নিয়ম লঙ্ঘন করছে। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক না থাকার পরেও অনানুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক স্থাপন ও মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি করতে পারে না। 

অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক হতে বিরত থাকা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়েও ভুল বার্তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।_এপি