চব্বিশ পরগণার পঞ্চায়েত ভোট
ভাঙরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০০:৫৪

পঞ্চায়েত ভোটের মনোয়ন ইস্যুতে ভাঙর রণক্ষেত্র- ইন্ডিয়া টুডে
ভারতের চব্বিশ পরগণার ভাঙরে চলমান সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দু'জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ফলে এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নজিরবিহীনভাবে গভীর রাতে এক নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের।
প্রধান বিচারপতি শিব জ্ঞানম বলেন, চারদিকে যে অবস্থা তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ভোট শুধু নয় বরং এখনই শান্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন এ অঞ্চলে।
এসময় তিনি কোর্ট কমিশনের ঢিলেঢালা নীতিরও সমালোচনা করেন। মূলত রাতের বেলা কোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন দাখিলের সময় একদিন বাড়ানো হলো। এতে করে শুক্রবারও মনোনয়ন পেশ করা যাবে।
এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙর পরিণত হয়েছিল এক অগ্নিগর্ভে। ঘটনাস্থল হতে আইএসএফ প্রার্থী মহিউদ্দিন মোল্লার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের এক ঘণ্টার মধ্যে রশিদ মোল্লা নামের তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক কর্মীর বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আর এর জের ধরে সন্ধ্যার পর ভাঙরে চেহারা পরিণত হলো রীতিমত এক যুদ্ধক্ষেত্রে। গুলির লড়াই, মুহুর্মুহু বোমা, বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে নির্বিচারে। এদিকে নবান্নে সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দাবি করেন, ভাঙরের ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয়। সবটাই আইএসএফের চক্রান্ত।
অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি নিজে নবান্নে গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন যে, ভাঙর ফুঁসছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশে আইএসএফের তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দেন পুলিশ প্রহরায়। এদিন বিজেপি, সিপিএম আদালতে যায় মনোনয়ন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করার জন্য। কমিশনও এদিন আদালতে যায় যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান অয়ে যায়। এসময় কমিশন আদালতকে জানায়, তারা কোনও জেলাকে স্পর্শকাতর বলেনি। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। অন্য রাজ্যের পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের সহায়তায় রাজ্য পুলিশই পঞ্চায়েত ভোট করাতে পারে বলেও দাবী জানিয়েছিলেন তারা।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে