Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চায় চীন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ১৪:২৯

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চায় চীন

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের ‘পূর্ণ সদস্য’ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন তিনি। আর এ জন্য দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতায় বেইজিং প্রস্তুত বলেও জানান চীনা নেতা।

বুধবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠকে জিনপিং এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় আরব দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ এবং আশ্চর্যজনকভাবে সৌদি আরব ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়। এই সফলতার পর চীনের প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস এবং রাশিয়ার ক্ষয়প্রাপ্ত অবস্থানের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের ভূমিকা জোরালো করতে চায় বেইজিং।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানায়, বৈঠকে জিনপিং বলেন, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার ব্যাপারে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে চীন। সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মৌলিক উপায় হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

গ্রেট হল অব পিপলে অনুষ্ঠানে আব্বাসকে উদ্দেশ করে জিনপিং বলেন, আজ আমরা যৌথভাবে চীন-ফিলিস্তিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করছি। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। এ সময় তিনি আব্বাসকে ‘পুরোনো এবং ভালো বন্ধু’ বলেও উল্লেখ করেন। 

মাহমুদ আব্বাসের পাঁচ দিনের বেইজিং সফর শেষ হবে আজ। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে তার পঞ্চম সরকারি সফর। এবারের সফরে তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বেইজিংয়ের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন জিনপিং। সে সময়ও আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ফিলিস্তিন সমস্যার দ্রুত, ন্যায্য এবং টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনা নেতা। বেইজিং এর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তৎপরতা চলিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে চলা মার্কিন প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রভাব শক্তিশালী করতে নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পরাশক্তি চীন। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র।

লন্ডনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের রিসার্চ ফেলো ইউ জেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমের সঙ্গে চীন সম্পর্ক উন্নত করতে না পারলে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলে তার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করবে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমসহ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চান জিনপিং।

তবে ২০১৪ সাল থেকে শান্তি আলোচনা স্থগিত থাকায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার স্থায়ী সমাধান বের করা কঠিন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং গত এপ্রিলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিপক্ষকে বলেছিলেন, বেইজিং শান্তি আলোচনায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিকে কিন বলেছিলেন, যত শিগগির সম্ভব আলোচনা পুনরায় শুরু করাকে সমর্থন করে বেইজিং।-খবর এএফপির। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫