Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ১০:২০

উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দুই দিনের সফরের মধ্যদিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক সম্পর্কের দিকে এগুচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা  যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজেদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার অঙ্গীকার করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দুই দিনের চীন সফরের পর বৈশ্বিক এই দুই দেশের পক্ষ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো।

আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দুই দিনের বেইজিং সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন সোমবার আলোচনার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখাও করেছেন। আর এর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উচ্চ-স্তরের যোগাযোগ পুনরায় শুরু হলো।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তারা অগ্রগতি অর্জন করেছেন। অন্যদিকে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, উভয় পক্ষই আরও আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তবে উভয় দেশের মধ্যে এখনও যে বড় পার্থক্য রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শীর্ষ এই মার্কিন কূটনীতিক।

গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ৩৫ মিনিটের বৈঠক শেষে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যেটাতে জোর দিয়েছি... ঊর্ধ্বতন স্তরে টেকসই যোগাযোগই হচ্ছে পার্থক্যগুলো বাটিয়ে ওঠার এবং প্রতিযোগিতা যাতে সংঘাতের দিকে না যায় তা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার চীনা সমকক্ষদের কাছ থেকে একই কথা শুনেছি। আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত।’

কিন্তু অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন সম্পর্কে তার ‘পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি’ রয়েছে এবং ‘(চীনের) অনেক ইস্যুতে আমরা গভীরভাবে - এমনকি তীব্রভাবে - দ্বিমত পোষণ করি’।

বিবিসি বলছে, ট্রাম্প-আমলের বাণিজ্য যুদ্ধ, তাইওয়ানকে নিজেদের বলে বেইজিংয়ের জোরালো দাবি এবং চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে কথিত চীনা গুপ্তচর বেলুন উড্ডয়নের প্রেক্ষাপটে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক কার্যত ভেঙে পড়েছে।

গত প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে চীনে কোনো শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিকের এটিই প্রথম সফর। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনই সবচেয়ে সিনিয়র নেতা যিনি চীন সফর করলেন।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং আমেরিকার ফেন্টানাইল সংকট থেকে তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া এবং চীনের কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবকিছুই অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং শি জিনপিংয়ের আলোচনার মধ্যে ছিল বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।

এবং এই বৈঠকে কোনও সুস্পষ্ট অগ্রগতি না থাকলেও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, উভয় দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হতে পারে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বক্তব্য প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘দুই পক্ষ কিছু অগ্রগতি করেছে এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এটা খুব ভালো।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫