
ইউক্রেন ওডেসা বন্দরে নোঙর করা শস্য জাহাজ: আরটি
কৃষ্ণসাগরের মধ্যদিয়ে ইউক্রেন হতে শস্য রপ্তানী চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই বলে ক্রেমলিনের পক্ষ হতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্রেমলিন প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এ ধরণের কোনো সম্ভাবনা আপাতত রাশিয়ার নেই।
শনিবার (১৭ জুন) ইজভেসতিয়া সংবাদপ্ত্রে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ইস্যুতে রাশিয়া অনেকবার তার সহনশীলতা ও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্ত বিনিময়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কোনটাই পালন করা হয়নি।
তিনি বলেন, আর তাই আমাদের পক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব কঠিন।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় শস্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। আর তাতে বলা হয়, কৃষ্ণসাগর করিডোর ব্যবহার করে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানীতে বাধা দিবে না রাশিয়া। অন্যদিকে রাশিয়া খাদ্য ও সার রপ্তানীতে যুক্তরাশটড় ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকল ধরণের বাধা দেওয়া হতে বিরত থাকবে।
এদিকে পশ্চিমারা বলছেন তারা মস্কোর ওপর কোনও বাধা আরোপ করেনি। আর রুশ কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পণ্য পরিবহনে সহায়তার বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৈদেশিক বাজার প্রাপ্তিতে কোনো সাহায্য করছেনা পশ্চিমারা।
এছাড়াও রাশিয়ার শর্ত ছিল, ইউরোপের ধনী দেশগুলোর পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার মত দরিদ্র দেশগুলোতেও সরবরাহ করতে হবে খাদ্যশস্য।
কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের পর দেখা যায়, ইউক্রেনের মোট গমের আশি শতাংশেরও বেশি নিয়ে গেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ এই সরবরাহ থেকে কোনো খাদ্যশস্য পায়নি।
চুক্তিটির প্রথমিক মেয়াদকাল ছিল ১২০ দিনের। পরে কয়েক দফা সময় বাড়ানোর ফলে এটির সময়সীমা আগামী ১৭ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে।
এর আগে কিয়েভ অভিযানের পর থেকেই মস্কোর ওপর বীমা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাও দেয় পশ্চিমা ও যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মস্কোর পক্ষ হতে বিক্ষুব্ধ প্রকাশ করে শুক্রবার (১৬জুন) সেন্ট পিটার্সবুর্গে আফ্রিকান নেতাদের পুতিন বলেন, বিশ্ব বাজারে শস্য রপ্তানী করলেই আফ্রিকান দেশগুলোর খাদ্য সমস্যার সমাধান হবে না।
বরং ইউক্রেনের এসব শস্য গরীব দেশগুলোর মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ খাদ্য ঘাটতিতে সাহায্য করবে। বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাবে ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র : আরটি