ইউরোপ ও চীন জুড়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগ
ইরানজুড়ে ৬৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৪

ইরানের পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: এনডিটিভি
আর এই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকাশই দায়ী মানুষ। বিশেষ করে অতিরিক্ত কার্বন ফ্লোরো কার্বন নিঃসরণে বায়ুমণদলের স্তরের যে ক্ষতিসাধন হচ্ছে তার জন্য মনুষ্য সৃষ্ট কর্মকাণ্ডই বেশি দায়ী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বিগত শতাব্দী গুলোর চেয়ে বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। আর এই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের হাওয়া এবারে ইরানেও লেগেছে।
ইউএস স্টর্মওয়াচের(যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা) কর্মকর্তা কলিন ম্যাকার্থি এক টুইট বার্তায় বলেন, সোমবার দুপুরে দেশটির পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। আর এমন তাপমাত্রা নিঃসন্দেহে মানুষ, উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীকূলের জন্য অসহনীয় হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে ইরানে চলছে গ্রীষ্মকাল। আর হিট ইনডেক্সের তথ্য বলছে, অভ্যন্তরীণ ভূভাগের তাপমাত্রা ও পারস্য উপসাগর থেকে বয়ে আসা অতি উষ্ণ জলীয় বাষ্পের কারণে দেশটির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুধু ইরান নয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইউরোপ ও আফ্রিকার বেশকিছু অঞ্চলেও বর্তমান সময়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ আর সঙ্গে লু হাওয়া। বিশেষত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত দেশগুলোর অবস্থা ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বে সর্বোচ্চ উষ্ণ যেসব দিনের অতীত রেকর্ড রয়েছে সেসবের মধ্যে এ বছর অন্তত ১০ দিনের রেকর্ড এমন তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইউরোপও তীব্র তাবদাহে পুড়ছে। তীব্র গরমে খুব নাকাল ইতালির জনজীবন। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে আগের দিনের সাথে যেন পাল্লা দিয়ে।
এসময় মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) কিছু অংশে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। আর স্পেন ও গ্রিসেও অস্বাভাবিক গরমে দাবানলের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন সূত্রে পাওয়া গেছে, ২০২১ সালে ইতালির সিসিলিয়ার ফ্লোরিডিয়া শহরে ৪৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
অন্যদিকে এশিয়ার বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়ানডং প্রদেশে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তালিম। ইতোমধ্যেই অরেঞ্জ অ্যালার্ট বা কমলা সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দাকে।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এই বছরের চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় তালিম ঘণ্টায় প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন বাতাসসহ দক্ষিণ উপকূলে আঘাত এনেছে। এমনকি ঝড়ের তীব্রতায় বর জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয়েছে যা কিনা উপকূলে আছড়ে পড়ছে।
এসময় বাতাসের তীব্র গতি ও বৃষ্টির কারণে শত শত ফ্লাইটের পাশাপাশি ট্রেনের সময়সূচিও বাতিল করেছে বিমান ও রেল কর্তৃপক্ষ।