চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রথম ছবি পাঠাল ভারতের চন্দ্রযান-৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৫৬

চন্দ্রযান৩ 'র তোলা চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রথম ছবি: বিবিসি
শনিবার চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করেই ভারতের মহাকাশ সংস্থা চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান দিয়ে তোলা চাঁদের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যায়, মহাকাশযান যত কাছে আসছে ততই চন্দ্র পৃষ্ঠের গর্তগুলি আরও বড় ও দৃশ্যমান হচ্ছে৷ এদিকে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার এবং রোভার চলতি মাসের ২৩ তারিখ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভিযান সফল হলে দক্ষিণ মেরুর কাছে নিয়ন্ত্রিত "সফল অবতরণ" সম্পাদনকারী প্রথম দেশের খ্যাতি অর্জন করবে ভারত। আর এর ফলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনের পর চাঁদে নরম অবতরণ অর্জনের জন্য চতুর্থ স্থানে পরিণত হবে।
মহাকাশযানটি প্রায় ১০ দিন পৃথিবী প্রদক্ষিণের পর গত মঙ্গলবার ট্রান্সলুনার কক্ষপথে পোঁছে শনিবার সফলভাবে চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) বলছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে যে চন্দ্রযান-৩ এখনও ভাল অবস্থায় রয়েছে।
আরও জানায়, এটি পরপর তৃতীয়বার যে ইসরো সফলভাবে চন্দ্র কক্ষপথে একটি মহাকাশযান প্রেরণে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে দেশের প্রথম চন্দ্র অভিযানের ১৩ বছর পরে এটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যেখানে কিনা শুকনো চন্দ্র পৃষ্ঠে জলের অণুর উপস্থিতি আবিষ্কারসহ চাঁদে দিনের বেলায় বায়ুমণ্ডলের অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
পূর্বে পাঠানো চন্দ্রযান-২ তে অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার সংযুক্ত ছিল। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে উৎক্ষেপণের পর আংশিক সফলতা লাভ করে।
এদিকে জানা যায়, বর্তমানে প্রেরিত মহাকাশযানের ল্যান্ডারটির (বিক্রম নামে পরিচিত) ওজন প্রায় ১ হাজার ৫০০ কেজি। যেটি কিনা পেটের মধ্যে ২৬ কেজি পর্যন্ত রোভার বহন করতে সক্ষম। আর এটির নাম রাখা হয়েছে জ্ঞানের সংস্কৃত শব্দ প্রজ্ঞানের নামানুসারে।
এদিকে নৌযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের সাথে সাথে ধীরে ধীরে রকেটের গতি কমানো শুরু হয়েছে যাতে করে একটি সফল অবতরণের প্রস্তততি নিতে পারে যানটি।
একবার এটি অবতরণ করলে, ছয় চাকার রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠের শিলা এবং গর্তের চারপাশে বের হয়ে ঘোরাফেরা করবে, বিশ্লেষণের জন্য পৃথিবীতে ফেরত পাঠানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং চিত্র সংগ্রহ করবে।
মহাকাশ বিজ্ঞানী সোমনাথ জানান, রোভারটিতে মোট পাঁচটি যন্ত্র রয়েছে যা চাঁদের পৃষ্ঠের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, পৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুমণ্ডল এবং ভূপৃষ্ঠের নীচে কী চলছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে পারে। এমনকি টেকটোনিক প্লেট সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহে এটি ভূমিকা রাখবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: বিবিসি