পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার অভিযোগে তাণ্ডব, চার্চে আগুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১৩:১১

কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে একটি চার্চে আগুন একটি চার্চে আগুন দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের একটি শহরে দু'জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েক হাজার মুসলিম সংগঠিত হয়ে একটি চার্চে আগুন দিয়েছে এবং খ্রিস্টানদের বাড়িঘরে তাণ্ডব চালিয়েছে।
পাঞ্জাবের পূর্বাঞ্চলে জারনওয়ালা শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ বলছে, কমপক্ষে চারটি গির্জায় আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন গির্জা সংলগ্ন বাড়িঘররে হামলা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
ব্লাসফেমি বা ইসলাম ধর্ম অবমাননা পাকিস্তানে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও এ আইনে এখনো পর্যন্ত কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। তবে এ ধরণের অভিযোগ ওঠার পর উন্মত্ত জনতার হাতে অনেকেই খুন হবার নজির রয়েছে।
পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশই মুসলিম। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পুলিশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দু'ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের কাছে কোরআনের কয়েকটি পাতা পাওয়া গেছে যেখানে লাল কালিতে 'অবমাননাকর' মন্তব্য লেখা ছিল বলে পুলিশ দাবি করছে।
সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা খ্রিস্টানদের বাড়িঘর তছনছ করছে আর পুলিশ শুধু তাকিয়ে দেখছে।
পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর কথিত ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কয়েক হাজার পুলিশ ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে এবং বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের কথা উল্লেখ করে রয়টার্স বলছে, হামলাকারী উন্মত্ত জনতার বেশিরভাগই মূলত ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান বা টিএলপির সঙ্গে জড়িত। যদিও টিএলপি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।_বিবিসি