
২০২০ সালে ইথিওপিয়ার উত্তরের তাইগ্রে অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত
খাদ্য সংকটের কারণে গত চার মাসে অন্তত ১ হাজার ৪০০ মানুষ মারা গেছেন ইথিওপিয়ায়। পূর্ব আফ্রিকার দেশটির তাইগ্রে অঞ্চলে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি একজন কর্মকর্তা।
জাতিসংঘের
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক
উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) চুরির অভিযোগে প্রায় চার মাস আগে
তাইগ্রেতে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে
তাইগ্রে কর্তৃপক্ষের এক তদন্তে দেখা
যায়, দাতব্য সংস্থার খাদ্য চুরির সঙ্গে অন্তত ৫০০ জন জড়িত
ছিল।
২০২০
সালে ইথিওপিয়ার উত্তরের তাইগ্রে অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাতে দেশটির
এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি
হয়।
গত নভেম্বরে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) মধ্যস্থতায় ইথিওপিয়ার
সরকার ও তাইগ্রে পিপলস
লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মাঝে একটি শান্তি
চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংঘাতের অবসান
ঘটে।
এই সংঘাতে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষে লড়াই করেছিল ইরিত্রিয়ার
সৈন্যরা। যুদ্ধের বেশিরভাগ সময় ওই অঞ্চলটি
অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল; যে
কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়।
নাইজেরিয়ার
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আফ্রিকান ইউনিয়নের
দূত ওলুসেগুন ওবাসাঞ্জো বলেন, তাইগ্রেতে দুই বছরের সংঘাতে
প্রায় ৬ লাখ মানুষ
মারা গেছেন। লাখ লাখ মানুষের
মৃত্যুর ঘটনায় যুদ্ধ, অনাহার এবং স্বাস্থ্যসেবা ঘাটতিকে
দায়ী করেছেন গবেষকরা।
ডব্লিউএফপি
এবং ইউএসএইড প্রায় ৬০ লাখ মানুষকে
সহায়তা করার জন্য তাইগ্রেতে
খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য জরুরি
পণ্যসামগ্রী মজুত করেছিল। কিন্তু
গত এপ্রিলে সংস্থা দুটি দেখতে পায়,
তাদের অনুদান স্থানীয় বাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার পর সেখানে খাদ্য সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় তারা।_বিবিসি