
ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শীর্ষ নেতারা। ছবি- সংগৃহীত
উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংস্থা ব্রিকস জোট নতুন করে ছয়টি দেশকে সদস্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এতে নেই বাংলাদেশের নাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা এসব তথ্য দেন। তার বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশিত হয়।
ব্রিকস জোটের বর্তমান শীর্ষ নেতারা আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এ জোটে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রামাফোসা বলেন, ব্রিকস একটি বিচিত্র জাতিগোষ্ঠীর জোট। এটি বিভিন্ন দেশগুলোর সমান অংশীদারিত্বে বিশ্বাস করে। বিভিন্ন দেশের নানান দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে, কিন্তু তারা সবাই একটি উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখে। ব্রিকসের পাঁচ সদস্য হিসেবে আমরা এ জোটের সম্প্রসারণের বিষয়ে একমত হয়েছি।
সম্মিলিতভাবে ২৩ টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকস সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে ছয়টি দেশকে রামাফোসা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সদস্যপদ পাওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ বলেন, আমরা ব্রিকস নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করি এবং এই গুরুত্বপূর্ণ জোটের সদস্য হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্তর্ভুক্তির প্রশংসা করি। আমরা বিশ্বের সকল জাতি ও জনগণের সমৃদ্ধি, মর্যাদা এবং সুবিধার জন্য সহযোগিতার অব্যাহত অঙ্গীকারের অপেক্ষায় রয়েছি।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের চলমান ১৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বুধবারের শীর্ষ সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অংশগ্রহণ করেন।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জোহানেসবার্গে যাওয়ার ঝুঁকি নেননি।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে বহুল আলোচিত সংস্থা ব্রিকস গঠিত। এই পাঁচ দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বসবাস করে এবং বিশ্বের মোট জিডিপির এক-চতুর্থাংশ এসব দেশে উৎপাদিত হয়।