
জো বাইডেন ও ইনসেটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিন। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় দেশটির ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিনের আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিন রাশিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খবরে মোটেও বিস্মিত নন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল ২৩ আগস্ট স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের লেক তাহোয়ের কাছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমি জানি না ঠিক কী ঘটেছে। কিন্তু আমি বিস্মিত নই। রাশিয়ায় এমন কোন ঘটনা ঘটে না যার পিছনে পুতিনের হাত নেই। তবে এর উত্তর দেওয়ার মতো যথেষ্ট কিছু আমি জানি না।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় ইয়েভগিনি প্রিগোশিনের নাম ছিল। দেশটির সামরিক নেতৃত্বকে অপসারণ করতে বাধ্য করার লক্ষ্যে মস্কোতে বিদ্রোহ ঘোষণা করার দুই মাস পরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হেলসিঙ্কি নামক স্থানে একটি বক্তব্যে জো বাইডেন মজা করে সতর্ক করে বলেন, প্রিগোশিনের ওয়াগনার বাহিনী (রাশিয়ার পক্ষ হয়ে) যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা বিদ্রোহ ঘোষণার পর তাদের (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি যদি সে হতাম তাহলে আমি কী খেয়েছি তা নিয়ে সতর্ক থাকতাম। আমার মেনুতে আমি নজর রাখতাম।
সম্প্রতি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোশিনকে বহনকারী একটি প্রাইভেট উড়োজাহাজ রাশিয়ার তিভর অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। ইয়েভগেনি প্রিগোজিনসহ সেখানে থাকা ১০ জন আরোহীই মারা গেছেন।