
পি কে হালদার। ছবি: সংগৃহীত
অসুস্থ মাকে দেখতে পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারের করা জামিনের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) এ আবেদন জানান তারা।
শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্য জনিত কারণে পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার (৭৯) বর্তমানে কলকাতার বাগুইহাটির ভিএআইপি অ্যাপেক্স মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি।
বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে নগর দায়রা আদালতের (ব্যাংকশাল) স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয়।
এসময় পি কে হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিন আবেদন জানানো হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। আইনজীবী জানান, লীলা দেবী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি তার ছেলেদের দেখতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে, জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পি কে হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত ও একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বাইরে গেলে তথ্য লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি তিনি বিদেশে পালিয়েও যেতে পারেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন করা হয়। তার জামিনেরও বিরোধিতা করেন অরিজিৎ চক্রবর্তী। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক ১৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
বর্তমানে পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ আসামিকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। অন্যদিকে একমাত্র নারী আসামি শর্মী হালদার রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
বহুল আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
ইডি আরও জানায়, রাজ্যের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় ছিলেন এই পি কে হালদার। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে বিশাল সম্পত্তি তৈরি করা থেকে ভারতীয় পরিচয় পত্র ও যাবতীয় নথিপত্র তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন ওই দুই মন্ত্রী।