এআইয়ের সুফলের সঙ্গে সমস্যাও আছে: রুম্মান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০১

এআইয়ে অবদানের জন্য বিশ্বসেরা ১০০ জনের তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুম্মান চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বসেরা ১০০ জনের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রুম্মান চৌধুরী। টাইম ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে লন্ডন স্পিকার ব্যুরোতে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। যেখানে রুম্মান চৌধুরী ‘নৈতিক আউটসোর্সিং’ বিষয়ক একটি ধারণা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, যখন আমরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে মানুষের কাজে ব্যবহার করি তখন এর সঙ্গে সমস্যাগুলোও চলে আসে।
সাক্ষাৎকারে রুম্মান চৌধুরী বলেছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব মানুষের জীবনে আসবে কারণ মানুষই তাদের কোড করেছে।
টুইটারে মেটার পরিচালক হিসেবে রুম্মান চৌধুরী তার সময়ে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেছিলেন তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জগতে একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি তার পর্যবেক্ষণগুলো শেয়ার করে বলেছেন, নৈতিকতা এবং মানবতা বিবেচনায় নিয়ে যেনো প্রতিটি এআই পণ্য তৈরি করা হয় তা সবার আগে নিশ্চিত করা জরুরি।
তার মতে, যে প্রশ্নগুলো ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা দরকার তা হল; এআই ব্যবহারে সমাজে কেমন আইন করা উচিত? সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবে যে এআই তাদের প্রভাবিত করছে? এআই মানুষের ক্ষতি করলে কোম্পানিগুলোকে কীভাবে দায়ী করা হবে?
এআইকে কীভাবে নিরাপদ করা যায় সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন রুম্মান। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের এআইয়ের নিরাপদ ব্যবহারের দিকটি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশ্বব্যাপী এআই সম্পর্কিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করার পর, তার পরামর্শ অন্য এআই বিশেষজ্ঞদের মতই ছিল। রুম্মান মনে করেন, এআই শুধুমাত্র একটি পণ্য যা আপনি ব্যবহার করেন, আপনার উদ্দেশ্য এবং মূল্যায়ন সবসময়ই আগে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
ড. রুম্মান ডেটা সায়েন্স ও সোশ্যাল সায়েন্সের সমন্বয়ে 'অ্যাপ্লাইড অ্যালগোরিদমিক এথিকস' খাতে কাজ করেছেন। তিনি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা ও মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করেন।