ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাস নেতারা এই যুদ্ধের নাম দিয়েছেন ‘অপরেশেন আল-আকসা স্টর্ম’।এদিকে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ায়োভ গ্যালেন্ত বলেছেন, এই হামলার সঠিক জবাব দিতে তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) প্রস্তুত। আইডিএফ ইতোমধ্যে ময়দানে নেমেছে। 

এ সময় তেল আবিব এবং গাজার চতুর্দিকে বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি বেসামরিক লোকদের রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এ হামলার জন্য হামাসকে চড়া মূল্য দিতে হবে। এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যে গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করেছে।

হামলার পর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রকেট হামলায় অন্তত একজন ইসরায়েলি মহিলা নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে। 

এদিকে হামাসের সিনিয়র এক নেতা বলেন, তারা ইসরায়েলকে ‘যথেষ্ট হয়েছে বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের আগে এক বিবৃতিতে হামাসের শীর্ষ নেতা মোহাম্মেদ দেইফ বলেন, ‘আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করেছি। শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ৫ হাজার রকটে ছুড়েছি। ইসরায়েলকে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’

বেশ কিছু আততায়ী হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মোহাম্মেদ দেইফি গত কয়েক বছর ধরে কখনও জনসম্মুখে আসেন না, তিনি কোথায় থাকেন সেটিও কেবল হামাসের  গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্যতীত আর কারও জানা নেই। 

শনিবার প্রচারিত বিবৃতিটি ছিল তার রেকর্ডকৃত বক্তব্য।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গাজা ও পশ্চিম তীর সীমান্তে ইসরায়েল- ফিলিস্তিন উত্তেজনার পর এই রকেট হামলা শুরু করল হামাস।

সূত্র: বিবিসি