বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন আরব নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩৪

জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০০জন নিহত হয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন আরব নেতারা।
বৈঠকটি আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধারনা করা হয়েছিল, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে বাইডেন এ বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ভেস্তে গেল। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে আজ বুধবার ইসরায়েলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সেখান থেকে তিনি জর্ডানে যেতেন।
গতকাল মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি আরব নামের একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৫০০ মানুষকে মেরে ফেলে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও এখানে ছিলেন।
এ হামলার পর পরই জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আম্মানে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালানোর পর হামাসকে নিমূল করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ ঘোষণায় সমর্থন দেয় আমেরিকা। দেশটির অভিযোগ, অন্তত ২৫০জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা।
গতকাল মঙ্গলবার গাজা শহরের আল আহলি হাসপাতালে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস। তবে ইসরায়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, হামাসই ভুল করে রকেট হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, জর্ডান এবং তুরস্কও গাজা শহরের হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে।
এদিকে, এ হামলার পেছনে আমেরিকাকে দোষারোপ করেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। গতকাল এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইসরায়েলকে আগ্রাসনের জন্য ইন্ধন যোগাচ্ছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপর থেকে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল–হামাস সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজারই ফিলিস্তিনি। গাজা থেকে অন্যত্র সরে গেছেন লাখো বাসিন্দা।