Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

গাজায় ওষুধের মজুদ শেষ, চেতনানাশক ছাড়াই চলছে সার্জারি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৭

গাজায় ওষুধের মজুদ শেষ, চেতনানাশক ছাড়াই চলছে সার্জারি

ইসরায়েলি রকেট হামলায় বিধ্বস্ত আল আহলি হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বুকে বালিশ চেপে কাঁদছেন এক নারী। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি রকেট হামলায় বিধ্বস্ত আল আহলি হাসপাতাল থেকে গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল শিফায় ছুটে যাওয়া হতাহতদের সার্জারি করার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলিমা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপিকে তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টেবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালানোর পর গাজ উপত্যকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। ফলে নতুন সরবরাহ না আসায় আল শিফাসহ গাজার অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের পাশাপাশি চেতনানাশক ওষুধের মজুতও ফুরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবু সেলিমা।  

‘এ কারণে সার্জারির আগে রোগীদের চেতনা নাশক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না,’ এপিকে বলেন আবু সেলিমা।

আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজা উপত্যকার আল আহলি হাসপাতালে রকেট হামলা হয়। সেই হামলায় নিহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি এবং আহতও হয়েছেন আরও শত শত মানুষ।

এই হামলার দায় স্বীকার করছে না ইসরায়েল। গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে তারা।  

হামলার পর স্থানীয় সময় বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ৩ শ’ মানুষ আল আহলি থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে আল শিফা হাসপাতালে এসেছেন বলে জানা গেছে হাসপাতাল সূত্রে। তাদের প্রত্যেকেই হামলায় জখম নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। এমনকি হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এমন রোগীর সংখ্যাও ছিল অনেক। ফলে, তাদের বেশিরভাগেরই সার্জারির প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু সরেজমিনে আল শিফা ঘুরে দেখা যায়, স্থানাভাবের কারণে হাসপাতালে মেঝেতে বসে চেতনানাশক ছাড়াই সার্জারি করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফলে হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ এক কথায় ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫