ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস প্রধান গাজার এই সংঘাতকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন। রবিবার (২৩ অক্টোবর) হামাসের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান খালেদ মিশাল এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন। 

তুর্কিতে ৬০ টি আরব সংস্থার উদ্যোগে গাজা ইস্যুতে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে এমন মন্তব্য করেন হামাসের এই নেতা। এ সময় তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে গাজার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধ বিগ্রহে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অধিকার আদায়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে। 

মিশাল আরও বলেন, “যখন গাজা দেখল আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লংঘন করা হচ্ছে এবং দিনের নির্দিষ্ট সময় মসজিদের মধ্যে ইহুদিদের প্রার্থনার জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়া শুরু হয়েছে তখন থেকেই এ অবস্থার প্রতিবাদ করে আসছিলেন গাজাবাসীরা। এমনকি আল-আকসা ভেঙ্গে এখানে 'হার হাবায়েত'(টেম্পল মাউন্ট) দিয়ে প্রতিস্থাপিত হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এটি রক্ষার দায়িত্ব গাজার জনগণ নিজেদের কাছে তুলে নেয়। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের জন্য সবুজ সংকেত দিয়ে আসছে। 

আর এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিরোধ হিসেবে হামাস এবং জনগণ একসাথে এই "ঝলসে যাওয়া মাটি"র অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। 

তিনি বলেন, "গাজার যুদ্ধ আল-আকসা মসজিদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হলেও এখন এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা সমর্থিত এক বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হয়েছে।" 

এ সময় তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববাসী ও মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানান। 

এর আগে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে অনবরত ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৩ জন শিশু ও ১ হাজার ২৩ জন মহিলা রয়েছে। আর আহত হয়েছেন ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। 

তবে হামলার বিষয়ে হামাস প্রধান বলেন, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধের পাল্টা জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু নিউজ