গাজায় ইসরায়েলের জোরালো স্থল অভিযান শুরু। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় স্থল অভিযান আরও জোরালো করেছে ইসরায়েল। রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিলো। হামলার তীব্রতায় অঞ্চলটিতে বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টারনেট এবং মোবাইল যোগাযোগ পরিষেবা।
টানা বিস্ফোরণে গাজা উপত্যকায় ভয়ানক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, গাজায় তাদের অপারেশন রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না তারা এবং মাঠ কর্মীদের সকল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিনি টেলিযোগাযোগ সংস্থা জাওয়াল গতকাল শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছে, তাদের মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাজার অভ্যন্তরে বেসামরিক লোকদের সাহায্যকারী চিকিৎসা সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, যোগাযোগের অভাবে এই মুহূর্তে ঠিক কি ঘটছে তার খবর পাওয়া আমাদের জন্য কঠিন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কিছু ইসরায়েলি সৈন্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। তবে এটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের শুরু কিনা তা জানায়নি।
এবিষয়ে ইসরায়েলি মেজর নির দিনার বলেন, আমাদের সৈন্য এবং ট্যাংক গাজা উপত্যকার ভিতরে রয়েছে। তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকালও আমাদের সৈন্য এবং ট্যাংক গাজার ভিতরে ছিলো।
ইসরায়েলি বাহিনী আল-জালাজোন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়েছে এবং ক্যাম্পে প্রবেশ করেছে। তাদের সঙ্গে একটি বুলডোজারও রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, কিছু বাড়ি দখলকৃত পশ্চিম তীরের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বাড়ি নির্মাণের আগে অনুমতি প্রয়োজন। প্রায় কেউই সেই অনুমতি পায় না। একই শরণার্থী শিবিরে অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। সর্বোপরি, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক শহরে অভিযান চালাচ্ছে। যার ফলে প্রায়শই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে।
এদিকে হামাস বলছে, তাদের যোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের মুখোমুখি হয়েছে। কিছু ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংক প্রবেশ করেছে। হামাসের সামরিক শাখা এর আগে বলেছিলো, তাদের যোদ্ধারা উত্তর গাজার দুইটি অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত দুই রাত ধরে গাজায় ‘টার্গেটেড মিশন’ শুরু করেছে।
সূত্র: আল জাজিরার