
স্বজন হারিয়ে গাজায় চলছে শোকের মাতম। ছবি: সংগৃহীত
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৪ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের ২৫টি অ্যাম্বুলেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেগুলো এখন আর কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
জ্বালানির অভাবে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানে ৩০টির বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে আর চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আশরাফ আল-কুদ্রসা বলেন, ৩২টি মেডিকেল সেন্টার এখন আর সেবা দিতে পারছে না। বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করে হামলার সংখ্যা বাড়ছেই।
গতকাল রবিবার (২৯ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের স্থলসেনারা যে অভিযান চালাচ্ছে, তা সহজে বন্ধ হবে না। পরিস্থিতি খুব সহজে স্বাভাবিক হবে না। গাজার লড়াই শেষ হতে সময় লাগবে।
রবিবার দুপুরেও একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিলো, গাজায় বেসামরিক মানুষ কি অবস্থায় আছে, তার কোনো খোঁজ মিলছে না। ইন্টারনেট পরিষেবাও পুরোপুরি ব্যাহত হয়েছে। তবে এদিন রাত থেকে ধীরে ধীরে গাজায় ইন্টারনেট সংযোগ সচল হতে শুরু করে বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে, হামাস দাবি করেছে যে রবিবার গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে তাদের। হামাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় আধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের সৈন্যরাও তুমুল লড়াই চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪০০ জন নিহত এবং ২২৯ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সূত্র: আল জাজিরা