
কিয়েভে বিমান হামলার সময় এক মহিলা এবং ছোট শিশু আশ্রয়ের জন্য মেট্রো স্টেশনে বসে আছে। ছবি: বিবিসি
দেড় মাসেরও বেশি সময় পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরণের হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৫২ দিনের মধ্যে কিয়েভ প্রথমবারের মতো রাশিয়ান বিমান হামলার শিকার হয়েছে। হামলার সময় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
এক টেলিগ্রাম বার্তায় কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শনিবার ভোরে এই হামলার সময় ‘প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়’। তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্যে প্রাপ্ত যে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে সক্ষম হয়েছিল।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, বিমান হামলার পর প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কাছ থেকে খেরসনের মুক্তির প্রথম বার্ষিকী উদযাপনের সময় এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় শহরের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি ‘প্রতিরোধের মাধ্যমে বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করার’ জন্য তিনি ইউক্রেনীয়দের প্রশংসা করেন।
এদিকে কিয়েভ থেকে প্রায় ২৭৫ মাইল (৪৪২ কিমি) দূরে উপকূলীয় জেলা ওডেসাতেও অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। অঞ্চলটির প্রশাসন প্রধান ওলেগ কিপার বলছেন, হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন এবং ৯৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার কৃষ্ণসাগরে এক বেসামরিক জাহাজে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হন। রুশ হামলার শিকার ওই জাহাজটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ছিল। সেটি কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ওই জাহাজটিতে অ্যান্টি-রাডার মিসাইল দিয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। হামলায় জাহাজটির ৪৩ বছর বয়সী হারবার পাইলট মারা যান। এছাড়াও তিন ফিলিপিনো ক্রু সদস্য এবং একজন বন্দর কর্মীও হামলার সময় আহত হন।
সূত্র: বিবিসি