
জাতিসংঘের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, গাজা থেকে আহত, অসুস্থ মানুষসহ বেসামরিক ব্যক্তিদের বার করার জন্য আরো নতুন প্যাসেজ তৈরি করা হোক। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় মানবিক প্রয়োজনে দীর্ঘ যুদ্ধ বিরতির উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নেওয়া বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল।
দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র নিওর হাইয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২৩৯ জন পণবন্দিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত
ইসরায়েল লড়াই থামাবে না।
আপাতত গাজায় নতুন কোনো
করিডোর বা প্যাসেজ তৈরির প্রশ্ন ওঠে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, জাতিসংঘের প্রস্তাবে
বলা হয়েছিল, গাজা থেকে আহত, অসুস্থ মানুষসহ বেসামরিক ব্যক্তিদের বার করার জন্য আরো
নতুন প্যাসেজ তৈরি করা হোক। এখন কেবলমাত্র মিশরের সীমান্তে একটি করিডোর ব্যবহার করা
হচ্ছে। কিন্তু মূলত বিদেশিদের বার করার জন্যই ওই রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, এমন
কোনো করিডোর তৈরি করার কোনো প্রশ্নই নেই এখন। প্রথমে পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, তারপরেই
লড়াই বন্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েলের দাবি, জাতিসংঘের
সিদ্ধান্তে হামাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হবে। গাজা স্ট্রিপের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা
করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের আধিপত্য মেনে নেয়ার কথাই ঘুরিয়ে বলতে
চেয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর
স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেনকে একটি
চিঠি লিখেছেন।
সেখানে তিনি জানিয়েছেন,
হামাস যাদের পণবন্দি করেছে, তাদের মধ্যে ৩২ বছরের এক নারী বন্দি অবস্থাতেই এক সন্তানের
জন্ম দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সারা জানিয়েছেন, বন্দিদের মধ্যে ৩২জন বাচ্চা ছেলে-মেয়ে।
দ্রুত তাদের মুক্তির জন্য জিল বাইডেনকে আবেদন জানাতে বলেছেন সারা।
তাদের যৌথ আবেদনের ভিত্তিতে
বন্দিদের যাতে মুক্ত করা যায়, সে কথা চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর)
জাতিসংঘ যে প্রস্তাব পাশ করেছে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্য- যাদের হাতে ভেটো দেওয়ার
শক্তি আছে, কেউই সেই ভোটে অংশ নেয়নি। মাল্টা এই প্রস্তাব টেবিলে রেখেছিল। বাকি ১২টি
দেশ তা সমর্থন করেছে।
আমেরিকার বক্তব্য ছিল,
‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। প্রস্তাবে হামাসের বিষয়েও কোনো কথা বলা হয়নি।
৭ অক্টোবরের ঘটনার কোনো উল্লেখ নেই।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে
এখনও অভিযান চলছে ইসরায়েলের। ইসরায়েলের দাবি, হাসপাতালের ভিতর থেকে তারা অস্ত্র পেয়েছে।
অন্যদিকে ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, হাসপাতালের ভিতর ইসরায়েলের এই অভিযান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য
নয়। অবিলম্বে এই অভিযান বন্ধ হওয়া দরকার।