
জলাতঙ্ক রোগে নিহত বাবা ও ছেলে । ছবি ইন্ডিয়া টিভি
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আকবরপুর দেহাত জেলার একটি পোষা বিড়ালের কামড় ও আঁচড়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহতদের পরিবারের বাসিন্দারা একটি বিড়াল পুষতেন। আদর করে তার দেখভাল ও খাওয়া দাওয়ার সকল ব্যবস্থা ওই পরিবারের সদস্যরাই করে থাকতেন। পরিবারের প্রধান ইমতিয়াজউদ্দিন (৫৮) নয়ডার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ছেলে আজিম আকতার (২৪) নয়ডাতেই কাজ করতেন। দিন পনেরো আগে বাবা-ছেলে ছুটি নিয়ে আকবরপুরে নিজেদের বাড়িতে আসেন। আর এরপরেই বিড়ালটির সঙ্গে খেলার এক এক মুহুর্তে প্রাণীটি বাবা ওছেলেকে কামড় ও আঁচড় দেয়ার কয়েকদিন পর তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
জানা গেছে, ইমতিয়াজের বাড়িতে পোষা ওই বিড়ালটিকে গত সেপ্টেম্বর রাস্তার এক কুকুর কামড়ে দিয়েছিল, যা বাড়ির কেউ জানতেন না। ঘটনার পর বিড়ালটিও মারা যায়।
পরে গত ২১ নভেম্বর বাড়ির সবাই ভোপালে এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে সেখানে আজিম অসুস্থবোধ করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও ২৫ নভেম্বর তিনি মারা যান। এর চারদিন পর ২৯ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন ইমতিয়াজ। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ৩০ নভেম্বর মারা যান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর পরিবারের অন্য সদস্যরাও আতংকিত হয়ে পড়ছেন। ফলে তাদের সবাইকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের শরীরে এমন ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কী না পরীক্ষা করতে।.
এ বিষয়ে সিনিয়র চিকিৎসক অমিত কাতইয়ার বলেন, বাড়ির সকল পোষা প্রাণীকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেয়া উচিত। সাধারণত আক্রান্ত প্রাণী সেটি পোষা হলেও কাউকে কামড়ে দিলে সংক্রমিত হওয়ার পাশপাশি মৃত্যুর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে তিনি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জলাতঙ্কের কারণেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র: আসাম রাইজিং/ ইন্ডিয়া টিভি