
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি- সংগৃহীত
ইউক্রেনে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। সেগুলো অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়েভের সঙ্গে কোনো শান্তি চুক্তি হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানী মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ডিনাজিফিকেশন (নাৎসিকরণ বন্ধ করা), নিরস্ত্রীকরণ এবং জোট নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিতের পর তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা সম্ভব। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর পর থেকেই এমন দাবি করে আসছেন তিনি।
রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের বর্তমান সরকার উগ্র জাতীয়তাবাদী ও নব্য নাৎসি গোষ্ঠীদের দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত। যদিও রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিরোধী কিয়েভ ও তার পশ্চিম মিত্ররা। এ ছাড়া ইউক্রেন যেন জোট নিরপেক্ষ থেকে সামরিক জোট ন্যাটোতে না যোগ দেয়, তার দাবিও করে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে তারা আলোচনা করতে চায়নি। তাই আমাদের অন্য ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপটিও রয়েছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ ১৭ হাজার রুশ সেনা রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার মানুষকে রুশ পেশাদার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য ডাকা হয়েছিল। তবে বর্তমানে ইউক্রেনে আর রিজার্ভ সেনা পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার নাগরিক চুক্তিবদ্ধ সেনা হিসেবে কাজ করতে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছেন। গত বছর তিন লাখের বেশি ডাকা হয়েছিল। এই সংখ্যা কমানো হচ্ছে।