ভারত-চীনে ফের করোনার হানা
কেরালায় একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:০১

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও করোনা নতুন করে মাথাচড়া দিতে শুরু করেছে। আর তা নিয়ে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ইতোমধ্যে সংস্থাটি বিভিন্ন দেশকে এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। এদিকে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরণ নিয়ে শঙ্কিত হচ্ছেন কারণ এটি আগের সব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ এর নতুন এই টাইপ জেএন.১ সম্প্রতি চীনের কয়েক জায়গাসহ ভারতের কেরালায় শনাক্ত হয়েছে। এদিকে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং এ ভাইরাসে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ নিয়ে দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭০১ জনে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রোববার যে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের চার জনই কেরালা বাসিন্দা। বাকি একজন উত্তরপ্রদেশের।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সন্ধান মিলে করোনার নতুন এ উপধরণ জেএন.১। তখন থেকেই এটি বেশ কয়েকজন রোগীর শরীরে পাওয়া যায়।
এদিকে সম্প্রতি চীনেও জেএন.১ দেশটির জনগণের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে সাতজনের শরীরে মিলেছে ওই ভাইরাস।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মারিয়া ভান কেরকোভে বলেছেন, কেন এসময় হঠাৎ আবার করোনা মাথাচড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে আর কীভাবেই তা ঠেকানো যায় তা আমাদের চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এ মুহূর্তে যত করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন, তাদের ৬৮ শতাংশের দেহে রয়েছে এক্সবিবি উপধরণ। বাকি রোগীর দেহে ঘুরছে জেএন.১। শীতে এ রোগের দাপট আরও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, এ ভাইরাসের ফলে এবারে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং কিছু পরিস্থিতিতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পাতলা পায়খানাসহ বমি) সমস্যার আবির্ভাব হতে পারে উপসর্গ হিসেবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে মৃদু শ্বাসযন্ত্রের উপসর্গগুলো অনুভব করতে পারেব, যা সচেতনতার ফলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি, ওয়ার্ল্ডও মিটার, ডিএনএ ইণ্ডিয়া