নির্বাচনে ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণা
পাকিস্তানে পিটিআই এর ৯০ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪২

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
তোষাখানা দুর্নীতিসহ একাধিক দুর্নীতি মামলায় গত অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। আর এসব মামলায় প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। অন্যদিকে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তাকে নির্বাচনে লড়তে অযোগ্য ঘোষণা করেছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এই নির্বাচনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, ইমরান খানের দলের অধিকাংশ নেতার মনোনয়ন পত্রই বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির নেতারা। সব মিলিয়ে ইমরান খানের দলের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দলটির নেতৃবৃন্দ।
এর আগে পিটিআই গত সপ্তাহে ইমরান খানের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তবে সেই মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ইমরান খান সহ পিটিআইয়ের প্রায় সব জাতীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র রওফ হাসান বলেন, ‘আমাদের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, তাদের দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই কারণেই তাদের বাধা দিতে একটি এজেন্ডার অংশ হিসাবে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও অবস্থাতেই পিটিআই রাজনৈতিক মাঠ ছাড়বে না এবং নির্বাচন বয়কট করবে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তাও নিশ্চিত করে জানান ইমরান খান সহ তার দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি জানান, একটি দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যাপক পদক্ষেপ পাকিস্তানে নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগেও এত বড় পরিসরে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছে। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল যেকোনোভাবে ইমরান খানের দলকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে দূরে রাখতে চায়ছে।’
এদিকে পিটিআইয়ের মুখপাত্র হাসান বলছেন, ‘আমরা নির্বাচনী লড়াই থেকে পিছু হঠব না। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এই সমস্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করব। আমরা সমস্ত সাংবিধানিক, আইনি এবং রাজনৈতিক বিকল্পগুলি ব্যবহার করব।’
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস