গুজরাতের বিলকিস ধর্ষণ মামলা
মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল সুপ্রিম কোর্টের, ধর্ষকদের ফিরতে হবে জেলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

বিলকিস বানো। ছবি: সংগৃহীত
বিলকিস বানো মামলায় মেয়াদ শেষের আগে ধর্ষকদের মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার, তা খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। আর এর মধ্যদিয়ে মুক্তি পাওয়া ওই ১১ জন ধর্ষককে আবার ফিরে যেতে হবে কারাগারে। একইসঙ্গে মামলার শুনানির বিষয়েও আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার, তা এখতিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এখতিয়ারই ছিল না গুজরাত সরকারের। যেহেতু মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে হয়েছে, তাই মহারাষ্ট্র সরকারই কেবল সক্ষম এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে।
২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই ধর্ষণের মামলায় সাজা পাওয়া অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রও মেলে। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
সেসময় ১১ জনের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশ জুড়ে। কেন মেয়াদ শেষের আগে ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে ছাড়া হল, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্কের মধ্যেই গুজরাত সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক এবং খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে।
২০০২ সালে গোধরাকাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল বিশেষ আদালত।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন