ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ না করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৩

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি- সংগৃহীত
ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কয়েকজন কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘সন্ত্রাসে’ জড়িত জাতিসংঘের কর্মীদের শাস্তি হবে। তবে ত্রাণ সংস্থায় নয়টি দেশ তহবিল স্থগিত করার পর গুতেরেস ইউএনআরডব্লিউএতে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারগুলোর প্রতি অনুরোধ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত জাতিসংঘের যে কোনো কর্মীকে ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে জবাবদিহি করা হবে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিচার করতে সক্ষম এমন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে সেক্রেটারিয়েট প্রস্তুত রয়েছে।
একই সময়ে তিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএর হয়ে কাজ করা হাজার হাজার কর্মীকে বিশ্বের অনেক বিপজ্জনক জায়গায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হয়। তাদের সবাইকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। সংকটে থাকা মানুষদের এখনো এই কর্মীদের প্রয়োজন।
এই ইস্যুতে প্রথম মন্তব্য করলেন জাতিসংঘের প্রধান। মন্তব্যে তিনি এই ‘ঘৃণ্য’ কাজের সঙ্গে জড়িত ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। জড়িত ১২ জনের মধ্যে নয়জনের চাকরি চলে গেছে। একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বাকি দুজনের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড জাতিসংঘের এই সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
জাতিসংঘের কর্মীরা ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত, অভিযোগ ইসরায়েলেরজাতিসংঘের কর্মীরা ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত, অভিযোগ ইসরায়েলের
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমি তাদের (অর্থায়ন বন্ধ করা দেশগুলো) উদ্বেগের কারণ বুঝতে পারছি। অভিযোগ শুনে আমিও ভয় পেয়েছিলাম। তহবিল স্থগিত করা সরকারগুলোর কাছে আমি দৃঢ়ভাবে আবেদন করছি, তারা যেন অন্তত ইউএনআরডব্লিউএর কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেন।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগের কারণে এ রকম যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং রাজনৈতিক সংকটের সময় একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।
এক বিবৃতিতে তিনি অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। লাজারিনি বলেন, গাজার মানুষের জীবন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এই সহায়তার ওপর নির্ভর করে।