পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচন
ভোটের দিনে মুঠোফোন-ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪

পাকিস্তানে ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের সারি। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ইতোমধ্যে ভোট শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ভোটদান পর্ব। আর ভোটের অনুষ্ঠান সুচারুরূপে সম্পাদন ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রেখেছে পাক সরকার। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেশ বেড়ে গেছে। ফলে সাধারন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। একইসঙ্গে অবনতি ঘটছে দেশের নিরাপত্তা পরিবেশেরও। তাই এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিপরীতে ‘সুরক্ষাকবচ’ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
নির্বাচনের দিনে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা বা গতি কম থাকার খবর জানিয়েছে ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লকস।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা বলেছেন, ‘’নিরাপদ পরিবেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’একটি নির্বাচন হবে—এটাই প্রত্যাশা।‘’ তবে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ এখতিয়ারের বাইরে।
অন্যিদকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক সিনেটর মুস্তফা খোখার বলেছেন, ভোট গ্রহণের দিন মুঠোফোন সেবা বন্ধ রেখেছে সরকার। এ সময় ভোটের দিনে কারচুপি শুরু হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে ১২ কোটি ৮০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন দেশটিতে। আর ২৬৬ আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একইসঙ্গে মোট ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৬৫টি ভোটকেন্দ্রকে ‘স্পর্শকাতর’ এবং ১৮ হাজার ৪৩৭টি ভোটকেন্দ্রকে ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পাশাপাশি পাকিস্তানের চারটি প্রাদেশিক পরিষদেও ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ।
সূত্র: ডন