১৭৫ বছরের মধ্যে উষ্ণতম জানুয়ারি দেখল বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৯

১৭৫ বছরের মধ্যে উষ্ণতম জানুয়ারির দেখা পেল বিশ্ববাসী। ছবি: সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসটিকেই সর্বোচ্চ উষ্ণতম মাস হিসেবে দেখতে পেল বিশ্ববাসী। এরইমধ্যে এ মাসটি বিগত ১৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হিসেবে বিবেচ্য হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ইইউ কোপার্নিকাস জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দপ্তর (সিথ্রিএস) তথ্যটি জানিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এর মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি ছিল ১৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম জানুয়ারি মাস।
এর আগে গত মাসে (জানুয়ারি) ২০২০ সালের পর সবচেয়ে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে, যা কিনা ১৯৫০ সালের রেকর্ডকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে সিথ্রিএস। ১৮৫০ সাল থেকে বিশ্বে তাপমাত্রার রেকর্ড রেখে চলেছে সিথ্রিএস।
১৮৫০ সালের পর পৃথিবীর উষ্ণতম বছরের রেকর্ডে ২০২৩ সাল স্থান পায়। আর বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০২৩ সালের জুনের পর থেকে প্রতিটি মাসই বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মাসের রেকর্ড গড়েছে।
এ বিষয়ে সিথ্রিএসের ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেন, “গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন দ্রুত হ্রাস করা ছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি কোনভাবেই রোধ করা যাবে না।”
এদিকে মার্কিন বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাসে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছরটি আরও বেশি উষ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। এমনকি শীর্ষ পাঁচটি উষ্ণতম বছরের তালিকায় ২০২৪ সালের স্থান পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে ৯৯শতাংশ।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই উষ্ণতার প্রভাব মানুষ সৃষ্ট কার্যকলাপ থেকে হওয়া ধারাবাহিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের ফসল। আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে চলতি বছরের এল নিনো আবহাওয়ার ধরন, যা প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশের উপরিতলের পানিকে ক্রমাগত উষ্ণ করে তুলেছে।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি নামে একটি জলবায়ু চুক্তি সম্পাদিত করেছিলেন বিশ্ব নেতারা। আর এই চুক্তির আওতায় দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করা প্রতিরোধে একযোগে সব দেশ কাজ করতে সম্মত হয়।
তবে এখনও প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বিশ্ব। এদিকে গত বছরই বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রভাবে টানা ১২ মাস ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে দেখেছে বিশ্ববাসী।
সূত্র: রয়টার্স