
পারমাণবিক রকেট। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি ইসরায়েলের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলকে পারমাণবিক হামলার বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইসরায়েলের দ্বারা ইরানের জনগণ ও তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে তাহলে ইসরায়েল যেন পারমাণবিক আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকে।
গতকাল শনিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে কামাল খারাজি বলেন, আমাদের পারমাণবিক আক্রমণের কোনো ইচ্ছা নেই, কিন্তু ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে, আমাদের সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।
এর আগে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে সরাসরি তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী ইরান মাত্র ২০২ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইরানের কাছে সাড়ে পাঁচ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ছিলো।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশটির কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুত আছে। এমনকি যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, তা যদি আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, তবে অন্তত দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে দেশটি।
আইএইএ প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র তৈরি ও তা বহন করার যোগ্য বাহন তৈরির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছিল ইরানের। তবে তা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অনেক অংশ নিয়েই কাজ করেছে ইরান।
সূত্র: এনডিটিভি