Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ

গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু!

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪৫

গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু!

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যেকোনো মুহুর্তে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। ফাইল ছবি

গাজায় হামাস নিধনের নামে সেনা অভিযানে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বিচারকার্য চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো মুহুর্তে আইসিসি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। এমন আশঙ্কাকে নেতানিয়াহু বেশ গুরুতর বিষয় হিসেবেই দেখছেন। গত ৩০ এপ্রিল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যেকোনো পরোয়ানা বিক্ষোভ সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান সতর্ক করে বলেছেন, আদালতের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ নেয়ার’ হুমকি তার নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে কি না, তা নিয়ে নিষ্পত্তিমূলক শুনানি পরিচালনা করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। তবে, আইসিসি দেশ নয়, ব্যক্তিকে নিয়ে কাজ করে।

 ইসরায়েলের আইনি কর্মকর্তাদের সন্দেহ, গাজায় মানবিক সরবরাহে বাধা দেয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে আইসিসি। কারণ আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর দাবি, উপত্যকাটির কিছু অংশ চলমান এ সংঘাত ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেয়ার কারণে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। যার ফলে আইসিসি বিষয়টিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ ও ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।

 এদিকে, ইসরায়েল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী নয়, যা আইসিসিকে ক্ষমতা দেয়। যার ফলে, ইসরায়েল তার কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য হস্তান্তর করবে- এমন সম্ভাবনা কম। তবুও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে, ইসরায়েলকে তা একটি আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফেলবে বলে মনে করেন অনেক আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।

তাদের ভাষ্য, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বেশ জটিল হয়ে উঠবে। এছাড়াও আইসিসির সদস্য এমন ১২৪টি দেশে ভ্রমণ করলেও তারা গ্রেপ্তার হতে পারেন।  

তবে ইসরায়েলের অনেক সমর্থকের যুক্তি, আইসিসির হস্তক্ষেপ ‘অযৌক্তিক’। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য ইসরায়েলের নিজস্ব স্বাধীন বিচার বিভাগ রয়েছে। পাঁচটি মানবাধিকার সংস্থার একটি পিটিশনে বর্তমানে ইসরায়েলের হাইকোর্টে শুনানি চলছে, যা সরকারকে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয়। 

গত ৩ মে আবেদনকারীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ইসরায়েল সরকার আগের শুনানিতে যে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করছে না। তারা যদি ইসরায়েলি আদালতের রায় মানতে না পারে, তাহলে তাদের শিগগিরই আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি করতে হবে। 

 সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫