করোনা চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেবন বিপজ্জনক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২০, ১১:১৯

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাসপাতালের বাইরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন বিপজ্জনক বলে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
যদিও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওষুধ দুটির ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী ছিলেন। তিনি ওষুধ দুটি ব্যবহারে স্বাস্থ্য বিভাগকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছিলেন।
তবে গতকাল শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করে এফডিএ।
সংস্থাটি জানায়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন করোনা আক্রান্ত রোগীদের হৃদযন্ত্রের ছন্দে বিপজ্জনক অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে রোগী যখন এজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে ম্যালেরিয়ার ওই ওষুধ খান, কিংবা যাদের আগে থেকেই হৃদযন্ত্র বা কিডনির জটিলতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ অনেকে নিজেরাই হাসপাতালের বাইরে ওষুধটি ব্যবহার করছে বলে বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
একদিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করে বিবৃতি দেয়। এ ধরনের ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দেয়া হয় চিকিৎসকদের।
এফডিএ বলেছে, হাইড্রোক্সিওক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন করোনাভাইরাস রোগীদের সাহায্য করতে পারে এমন কোনো প্রমাণ নেই। ওষুধ দুটি ম্যালেরিয়া ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত। ফ্রান্স ও চীন থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ওষুধগুলোর প্রতি আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। যদিও রিপোর্টগুলোতে ওষুধ দুইটি আসলে কাজ করে কিনা তা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ নেই।
ট্রাম্প করোনার চিকিৎসায় বার বার হাইড্রোক্সিওক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক হাসপাতালে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারও করা হয়।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওষুধ দুইটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে কিনা সেই পরীক্ষা সম্পন্ন না করে এটার ব্যবহার রোগীকে আরও ঝুঁকিতে ফেলে তার জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। -রয়টার্স