
সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি। ফাইল ছবি
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি সমর্থন না পাওয়ায় রান অফ ভোটে গড়াল ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) কট্টরপন্থী জালিলি ও মধ্যপন্থী পেজেশকিয়ানের মধ্যে হবে এই ভোট। প্রাথমিক ফলে ১ কোটি ৪০ লাখ ভোট পেয়েছেন পেজেশকিয়ান। নিকটতম প্রার্থী জালিলি পেয়েছেন ৯৫ লাখ ভোট।
ইরান সরকারের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এই দুই প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার কয়েক দফা সময় বাড়ানোর পর রাত বারোটায় শেষ হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। গতবারও ভোটার উপস্থিতি কম ছিল ইরানে। সেবার ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
এর আগে একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটার। দেশটির ধর্মীয় নেতারা যে পরিমাণ ভোটার উপস্থিতির আশা করেছিলেন, এটি তার চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান এবং অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল।
ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি ‘রানঅফে’ গড়াবে এটি অনেকটাই নিশ্চিত।
ইরানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেসব প্রার্থী অংশ নেবেন তাদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হবে।
কোনো প্রার্থী এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারলে নির্বাচন গড়াবে রানঅফে। যেখানে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুজন নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে গতকাল শুক্রবারের নির্বাচনে চার প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়।