ভারতের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ জনে উন্নীত হয়েছে। আর এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় নারায়ণ সাকার হরির একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলেক বাবাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি দেশটির পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভোলে বাবা’র খোঁজ চলছে। এরই মধ্যে তার আশ্রমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

এর আগে গতকাল স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছিল, হিন্দুদের দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে হাথরসের রতি ভানপুর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করলে পদদলিত হয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী জানিয়েছেন, প্রার্থনা সভাটি আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর সম্মানে। অনুষ্ঠান শেষে যখন মানুষ বের হয়ে যাচ্ছিলেন তখন অতি ভীড়ের কারণে এই  ঘটনা ঘটে।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে সুভাম শর্মা নামের এক ব্যক্তি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন নারীর মরদেহ পড়ে রয়েছে।

তিনি ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বাইরে বের হওয়ার সময়, প্রার্থনা সভার হলের একটি ছোট দরজা দিয়ে সবাই বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দ্রুত বের হতে হয়ে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।’

এদিকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলীগড় রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক সলভ মাথুর আজ বুধবার (০৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী। আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, আজ বুধবার (৩ জুলাই) যে কেনো সময় ঘটনাস্থলে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই মধ্যে তিনি এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি।