Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লড়ছেন ৯ নারীসহ ৩৪ বাংলাদেশি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩৮

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে লড়ছেন ৯ নারীসহ ৩৪ বাংলাদেশি

ব্রিটেনের নির্বাচনে ৯ নারীসহ ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রার্থী হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় আর বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হয় ভোটাভুটি। যা শেষ হবে রাত ১০টায়। আর ৫ জুলাই নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। সর্বোচ্চ আসনে জয়ী দল থেকে নির্বাচিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। 

জানা গেছে, নির্বাচনে কনজারভেটিভ, লেবার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ অংশ নিয়েছে ছোটবড় প্রায় ১০০ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। আর পার্লামেন্টের সাড়ে ৬শ’ আসনের বিপরীতে এ নির্বাচনে লড়ছেন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। এখানে প্রায় ৯ নারীসহ ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রার্থী হয়েছেন। 

এদিকে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার ৯ নারীসহ ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ আট জন। 

বর্তমান এমপি রুশনারা আলি, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আপসানা বেগমসহ লেবার পার্টি মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। লেবার পার্টি সরকার গঠন করলে প্রথম বার মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেতে পারেন কোনো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপিও।

অন্যদিকে ২০১০ সাল থেকে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে কনজারভেটিভ পার্টি। এবার দলটির অবস্থা নড়বড়ে। আর মে মাসে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা আত্মবিশ্বাসী লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।  

লেবার পার্টির পরিবর্তনের ডাকের সঙ্গে জনগণও যে পরিবর্তন চান, সেটির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচনী জনমত জরিপগুলোতে। 

সবশেষ জরিপের ফল অনুযায়ী, ৪০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম অবস্থানে ছিল লেবার পার্টি। ২১ পয়েন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো ফলাফল করলেও নির্বাচনী জরিপে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে রিফর্ম ইউকে। 

সার্ভেশনের পোলিং বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেবার পার্টি ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮৪টি আসন জিততে পারে, যা পার্টির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের ১৯৯৭ সালের ভূমিধস বিজয়ে ৪১৮টি আসনের চেয়ে অনেক বেশি। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ৬৪টি আসন। ১৮৩৪ সালে পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার সবচেয়ে কম আসনে জিততে পারে তারা।  

এবারে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, তারা হলো, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধী লেবার পার্টি। ৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী তিনি। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই এ প্রথমবার কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। 

লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জনমত নিজেদের দিকে টানতে চলমান সমস্যার সমাধানে ও সুসংহত যুক্তরাজ্য গড়ে তুলতে নির্বাচনি ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুই জনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায়, তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টির এক মন্ত্রী। এর মাধ্যমে নির্বাচনের একদিন আগেই কার্যত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।

কনজারভেটিভ মন্ত্রী মেল স্ট্রাইড বিবিসিকে বলেন, আমি পুরোপুরি মানি, এই মুহূর্তে নির্বাচনের অর্থ হলো- লেবারের সবচেয়ে বড় ভূমিধস জয় দেখতে পাব আমরা। এখন বড় যে বিষয়টি হলো বিরোধী দল হিসেবে আমরা কি করতে পারব।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫