বাইডেনের প্রার্থী থাকা না–থাকার বিতর্কে ঘি ঢাললেন ক্লুনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩৩

হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের প্রার্থী থাকা না–থাকার বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি।
নিউইয়র্ক টাইমসে একটি কলামে বাইডেনকে তিনি কড়া সমালোচনা করেছেন। গত মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাতাদের সঙ্গে একটি আয়োজনে ছিলেন বাইডেন ও ক্লুনি। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে জর্জ ক্লুনি লিখেছেন, ‘সপ্তাহ তিনেক আগে যে জো বাইডেনকে আমি দেখেছি, তিনি ২০১০ সালে দেখা বাইডেন নন। এমনকি তিনি ২০২০ সালে দেখা বাইডেনও নন। বরং তিনি সেই ব্যক্তি, যাকে আমরা বিতর্কের মঞ্চে (ট্রাম্পের সঙ্গে) দেখেছি।’
আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর সক্ষমতা বাইডেনের নেই—লস অ্যাঞ্জেলেসের ওই আয়োজনের সপ্তাহ তিনেক পর প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের কলামে এমনটাই মন্তব্য জর্জ ক্লুনির। তিনি লিখেন, বাইডেনের প্রচারণা দল দাবি করে, তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতে ভোটারদের সবচেয়ে সেরা পছন্দ ছিলেন। এটাকে ‘অত্যুক্তি’ বলেন ক্লুনি।
তিনি লিখেছেন, বাইডেনের সক্ষমতা ও আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ফল কেমন হতে পারে, এসব নিয়ে প্রভাবশালী ডেমোক্রেটিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। প্রায় সবাই বাইডেনের সক্ষমতা নিয়ে সংশয়ের কথা বলেছেন। যদিও অনেকেই প্রকাশ্যে এটা নিয়ে কথা বলতে নারাজ। অনেকে বলছেন।
‘আমরা বালিতে মুখ গুজে রাখতে পারি। আর নভেম্বরে অলৌকিক কিছু ঘটার জন্য প্রার্থনা করতে পারি। কিংবা আমরা প্রকাশ্যে সত্য উচ্চারণ করতে পারি।’—এমনটাই মন্তব্য করেন জর্জ ক্লুনি।
শুধু জর্জ ক্লুনি একা নন, বরং নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চাপ ক্রমে বাড়ছে বাইডেনের ওপর।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভারমন্টের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর পিটার ওয়েলচ প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা থেকে সরে আসার দাবি তোলেন। সংবাদপত্রে লেখা এক কলামে তিনি বলেন, ‘এটা দেশের জন্য ভালো হবে।’
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে পিটার প্রথম সিনেটর, যিনি প্রকাশ্যে বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবি তুললেন।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দু-এক আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন। বিতর্কে মোটেও ভালো করতে পারেননি তিনি। মূলত এর পর থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে।
ওই বিতর্কের পর আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বাইডেন। সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শেষে ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি। বাইডেনের জন্য এই সংবাদ সম্মেলন বড় একটি অলিখিত পরীক্ষা হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।